আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত লঙ্কান ওপেনার

শ্রীলঙ্কার অন্যতম সফল টেস্ট ওপেনার এবং সাবেক অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। চলমান অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের পরই জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখবেন ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
দীর্ঘ ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি হবে গলে, যেখানে ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি প্রথমবার টেস্টে খেলেছিলেন। এই ঐতিহাসিক ভেন্যুতে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন করুণারত্নে।
২০১১ সালের জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন করুণারত্নে। তবে তার আসল পরিচিতি গড়ে ওঠে টেস্ট ক্রিকেটে। ২০১৫ সাল থেকে শ্রীলঙ্কার নিয়মিত ওপেনার হিসেবে খেলতে শুরু করেন এবং এরপর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম ভরসা হয়ে থাকেন।
২০১৫ সাল থেকে টেস্ট ওপেনারদের মধ্যে করুণারত্নের চেয়ে বেশি রান করার কৃতিত্ব আর কেউ দেখাতে পারেননি। তিনি যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ ১৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন এবং ৩৪টি হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন, যা ওপেনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ হবে তার ক্যারিয়ারের ১০০তম টেস্ট। এই মাইলফলক ম্যাচেই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন।
দিমুথ করুণারত্নে এখন পর্যন্ত ৯৯টি টেস্টে ১৮৯টি ইনিংসে ব্যাট করে ৩৯.৪০ গড়ে ৭১৭২ রান সংগ্রহ করেছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে রয়েছে ১৬টি সেঞ্চুরি এবং ৩৯টি হাফ-সেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ২৪৪ রানের।
দিমুথ করুণারত্নে তার অবসরের কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বয়স এবং দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বিবেচনা করেই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি ঘরোয়া লিগ এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে খেলার সুযোগ পেতে পারেন।
করুণারত্নে শ্রীলঙ্কার টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয় করে, যা ছিল তাদের জন্য অন্যতম বড় সাফল্য। তার স্থির মানসিকতা ও ধৈর্যশীল ব্যাটিং তাকে শ্রীলঙ্কার টেস্ট ক্রিকেটের এক নির্ভরযোগ্য নাম করে তুলেছে।
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড ও তার ভক্তরা তাকে বিদায়ী ম্যাচে সর্বোচ্চ সম্মান জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। গলে অনুষ্ঠিতব্য এই ম্যাচটি করুণারত্নের ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন