চিরবিদায় ‘শেষ ঠিকানার কারিগর’ মনু মিয়ার, পেছনে রইল মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত

প্রায় অর্ধশত বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে কবর খননের মহৎ কাজ করে গেছেন মনু মিয়া। মানবসেবার এই নিঃস্বার্থ পথে তিনি হয়ে উঠেছিলেন আশপাশের গ্রাম ও জেলাজুড়ে পরিচিত এক নাম—‘শেষ ঠিকানার কারিগর’। মৃত্যুর পরে মানুষকে শেষ গন্তব্যে পৌঁছে দিতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তিনি।
একসময় কাজের প্রয়োজনে সময়মতো মৃত ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছাতে দোকান বিক্রি করে কিনেছিলেন একটি ঘোড়া। সেই ঘোড়ার পিঠে চড়ে নির্দ্বিধায় ছুটে যেতেন খবর পেলে। তবে ঘোড়াটির মৃত্যুর পর মনু মিয়া যেন ভেঙে পড়েন মানসিক ও শারীরিকভাবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বাহাউদ্দিন ঠাকুর বলেন, “ঘোড়ার মৃত্যুর পর থেকেই মনু মিয়া আরও দুর্বল হয়ে পড়েন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও আর আগের মতো হয়ে উঠেননি। তার মৃত্যুতে আমরা একজন নিঃস্বার্থ, মহান মানুষকে হারালাম।”
মনু মিয়ার মৃত্যু শুধু একজন মানুষ নয়, হারিয়ে যাওয়া এক মানবিক চেতনাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। তার মতো নিঃস্বার্থ কর্মী সমাজে বিরল, যার প্রতিটি কাজ ছিল অন্যের কল্যাণে নিবেদিত। আজ তিনি নেই, কিন্তু তার অসাধারণ অবদান স্মরণে রাখবে সময়।
মন্তব্য করুন