logo
  • বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প

মাদারীপুরে বালু ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় এনসিপি নেতা ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

অনলাইন ডেস্ক
  ২৫ জুন ২০২৫, ১৩:৪২
ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাকে এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় হোসেনপুর ইউনিয়নের তাতিকান্দা গ্রামের ২ নম্বর ব্রিজ এলাকায়

আহতরা হলেন—এনসিপির মাদারীপুর জেলা সমন্বয়কারী কমিটির সদস্য মহাসিন ফকির (৩৫) এবং তার স্ত্রী জান্নাতুল জারা নিপা (৩০)। বর্তমানে তারা রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হোসেনপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা এনামুল শেখ ও তার সহযোগীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য পাইপলাইন বসান। এনসিপি নেতা মহাসিন ফকির এ কাজে বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
পরে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে মহাসিনকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়। স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নিপাও মারধরের শিকার হন।

মহাসিন বলেন,

“লতিফ বয়াতি (বিএনপি নেতা) আমাকে ফোন করে ঘর থেকে বের করে আনে এবং এনামুল, হকসহ আরও কয়েকজন মিলে বেধড়ক মারধর করে। আমার স্ত্রীকেও লাথি মেরে আহত করা হয়, গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে নেয়।”

তিনি অভিযোগ করেন,

“এনসিপির সদ্য গঠিত জেলা কমিটি আমরা মানি না, তাই একটি পক্ষ পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”

অন্যদিকে, অভিযুক্ত হোসেনপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা এনামুল শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,

“ড্রেজার ব্যবহার নিয়ে আমি মিরাজুলের সঙ্গে সমঝোতায় ছিলাম। মহাসিন চাঁদা দাবি করে। পাইপ ভেঙে দেওয়ায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।”

রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন,

“ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একটি পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, মামলা এখনো হয়নি। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলার জন্য কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

এই ঘটনা শুধু একটি সহিংস রাজনৈতিক বিরোধ নয়, বরং স্থানীয়ভাবে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের একটি ভয়ানক দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন এলাকাবাসী ও বিশ্লেষকরা।


এই ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারী আক্রান্ত হওয়ায় নারী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নও জোরালোভাবে সামনে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এখন সময়ের দাবি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12