logo
  • বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প

ইশরাক হোসেন

উপদেষ্টা আসিফকে নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে

অনলাইন ডেস্ক
  ২৫ জুন ২০২৫, ১৪:২০
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নাগরিকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। আজ বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "ঢাকার ভোটারদের অপমান করা হয়েছে, উপদেষ্টাকে নগরবাসীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।"

ইশরাকের বক্তব্যের মূল দাবি:

  • আসিফ মাহমুদের বক্তব্যে ঢাকার হাজারো ভোটারকে পশুর মর্যাদায় নামিয়ে আনা হয়েছে

  • আন্দোলনকে ‘ইন্ধনপ্রাপ্ত’ বলায় তিনি (ইশরাক) ও ঢাকাবাসী চরমভাবে হেয় হয়েছেন

  • উপদেষ্টা দাবি করেছেন, কুমিল্লার এক বিএনপি নেতা আন্দোলনের জন্য ইশরাককে অর্থ ও লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছেন—এই প্রমাণ জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে, না হলে ক্ষমা চাইতে হবে

ইশরাক বলেন:

“একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আসিফ মাহমুদের বক্তব্যে আমাকে ‘মিস গাইডেড’ বলা হয়েছে, যা আমার ব্যক্তিগত মর্যাদার চরম অপমান। আর আন্দোলনের পেছনে ইন্ধন ছিল—এই কথা দিয়ে ঢাকার জনগণের বুদ্ধিবিবেচনা ও সচেতনতা নিয়েও কটাক্ষ করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন:

“আমি যে আন্দোলন করেছি, তা ঢাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া ও অংশগ্রহণের ফসল। কেউ প্ররোচনা দেয়নি, বরং জনদুর্ভোগ দেখে মানুষ নিজে থেকেই দাঁড়িয়েছে।”

গত ১৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ইশরাকপন্থী কর্মচারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন, বন্ধ করে দেন নাগরিক সেবা। পরবর্তী সময়ে ঈদের বিরতি শেষে ১৫ জুন থেকে আবারো নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রায় এক মাসের টানাপড়েন শেষে গতকাল (২৪ জুন) সেবাকেন্দ্রের তালা খুলে আবার নাগরিক সেবা সচল করা হয়।

ইশরাক হোসেন তার বক্তব্যে বলেন,

“সরকারি উপদেষ্টা একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়েও অবমাননাকর, পক্ষপাতদুষ্ট ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি যদি প্রমাণ না দেন, তবে তাকে জাতির সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।”


রাজনীতিবিদদের বক্তব্যে জনগণের মনোভূমিতে আঘাত লাগলে তার প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়। ইশরাক হোসেনের এই প্রতিবাদ কেবল একজন নেতার আত্মমর্যাদার প্রশ্ন নয়, বরং তা নগরবাসীর সম্মান ও অধিকার রক্ষার দাবির প্রতিফলন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে সরকারি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12