ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতির নির্দেশ লেবাননের প্রেসিডেন্টের
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন দেশটির সেনাবাহিনীকে যে কোনো ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার পর এই নির্দেশ জারি করেন তিনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের শেষের দিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম সরাসরি প্রতিক্রিয়া।
গত রাতে দক্ষিণ লেবাননের ব্লিদা শহরের একটি পৌরসভা ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। এতে একজন সরকারি কর্মকর্তা নিহত হন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আউন এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, “এটি ইসরায়েলি আগ্রাসনের ধারাবাহিক প্যাটার্নের অংশ।”
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, ওই পৌরসভা ভবনটি হিজবুল্লাহর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।
হিজবুল্লাহও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট আউনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, তারা সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।
গত আগস্টে লেবাননের আরব-সমর্থিত সরকার সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছিল। তবে হিজবুল্লাহ এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি দখলকৃত পাঁচটি সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা নিজেদের অস্ত্র রাখবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর থেকেই লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৭ হাজার জন আহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। আগামী জানুয়ারিতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথা থাকলেও তারা এখনো পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন

