মির্জা ফখরুল
ড. ইউনূসের মাঝে শহীদ জিয়ার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস দূরদৃষ্টি সম্পন্ন একজন নেতা। তার মাঝে আমি আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।”
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় নিউ ইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ফখরুল বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে অংশগ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশ্ববাসী দেখেছে—বাংলাদেশে বিপ্লব-পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা ঐক্যবদ্ধ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ৫ মাস পর যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকারই গঠিত হোক না কেন, তারা দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন গত ১৫ মাসে অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি প্রবাসীদের রেমিট্যান্স অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানান।
এ আয়োজনে আরও ছিল দুটি বিশেষ প্যানেল আলোচনা—
‘ব্রিজিং বর্ডারস: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ডায়াস্পোরা এনগেজমেন্ট’ সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। এতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলসহ তিনজন অংশ নেন।
‘শেপিং টুমোরো: দ্য ফিউচার অব বাংলাদেশ’ সঞ্চালনা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। প্যানেলিস্ট ছিলেন এনসিপি নেতা তাসনিম জারা, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির ও জামায়াত নেতা নাকিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য-সচিব আখতার হোসেন। তারা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন