logo
  • মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প

এখন আর শেখ হাসিনার পালানোর পথ নেই : প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
  ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:২৬
সংগ্রহীত


জুলাইয়ের গণআন্দোলন নিয়ে বিবিসির প্রকাশিত অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে চাপ আরও জোরালো হচ্ছে।

বুধবার (৯ জুলাই) এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শফিউল আলমের প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, “শেখ হাসিনার আর পালানোর কোনো পথ নেই। তিনি অবশ্যই গণহত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি হবেন।”

শফিকুল আলম বলেন, “বিবিসির গভীর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আন্দোলনকারীদের ওপর গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এতে শতাধিক শিশুসহ প্রায় দেড় হাজার মানুষ নিহত হয়। এই ভয়াবহ ঘটনার দায় এড়ানোর সুযোগ আর নেই।”

তিনি আরও লিখেছেন, “গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে দমননীতি ও সহিংসতা চালানো হয়েছে, তার জন্য শেখ হাসিনা ও তার নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। কেউই শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে না।”

বিবিসির অনুসন্ধানী ইউনিট BBC Eye Investigations জানায়, ফাঁস হওয়া একটি অডিও রেকর্ডিং বিশ্লেষণ করে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে, আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ শেখ হাসিনা সরাসরি দিয়েছেন। ফোনালাপে তাকে বলতে শোনা যায়, “যেখানেই ওদের পাওয়া যাবে, গুলি করা হবে।”

এই ফোনালাপটি গত বছরের ১৮ জুলাই গণভবন থেকে করা হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বিবিসিকে জানায়। চলতি বছরের মার্চে অডিওটি ফাঁস হয়। বাংলাদেশের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অডিওটির ফরেনসিক বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত করে যে, রেকর্ডিংয়ে শোনা যাওয়া কণ্ঠস্বর শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিল রয়েছে।

বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে আরও জানায়, অডিওটি সম্পূর্ণ আসল এবং এতে কোনো ধরনের কৃত্রিম পরিবর্তন বা এডিটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার আইনজীবীরা এই রেকর্ডিংকে ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12