শেখ হাসিনা, সাবেক সিইসি, আইজিপিসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

রোববার (২২ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর–১১।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তৎকালীন সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, আবু হানিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ, এ কে এম নুরুল হুদা, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী, এ কে এম শহীদুল হক, বেনজীর আহমেদ, এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, অজ্ঞাতনামা সাবেক ডিজিএফআই প্রধান, এনএসআই প্রধান এবং ঢাকা রেঞ্চের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল আলম।

মামলার বাদী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, “২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে এসব কর্মকর্তারা দলীয় প্রশাসন ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করেছেন। তারা দিনের ভোট রাতে করে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। এ ঘটনায় রাষ্ট্র, জনগণ ও সংবিধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এই মামলার সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি, ২০১৮ সালের নির্বাচন কমিশনে দেওয়া অভিযোগের ছায়ালিপি ও অন্যান্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন,

“অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা সংবিধান লঙ্ঘন করে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন এবং ভোট ছাড়াই প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, দেশের বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন ‘প্রহসনমূলক’ ছিল এবং আওয়ামী লীগ প্রশাসনিক শক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনই এখনো দলটির প্রধান দাবি।