logo
  • সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এক দশক পর চাঁদপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় ডা. দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
  ০৫ জুন ২০২৫, ১১:৩৪
সংগ্রহীত

২০১৩ সালের রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে দীর্ঘ এক যুগ পর চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, তার ভাই ডা. জে. আর. ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ আরও বহু নেতা-কর্মী।

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে নিহত তাজুল ইসলামের বড় ভাই মো. ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন আরাফাত মামলাটি আমলে নিয়ে চাঁদপুর মডেল থানাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা ও গুলি চালায়। এতে ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম (২০) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় আরও প্রায় ৩০০ বিএনপি-ছাত্রদল কর্মী আহত হন।

বাদী দাবি করেন, ঘটনার পর তৎকালীন রাজনৈতিক পরিবেশ এবং আসামিদের প্রভাব ও হুমকির কারণে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে এলে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে আসায় তিনি আইনের আশ্রয় নেন।

মামলায় নাম উল্লেখ করে ১৪০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০-৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের জিলানী মিল্টন জানান, “প্রায় এক যুগ পরে মামলা হলেও যদি যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা যায়, তাহলে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব।”

উল্লেখ্য, নিহত তাজুল ইসলাম ও মামলার বাদী ফারুকুল ইসলাম চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12