logo
  • মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২

শিরোনাম

  •     ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত কারও কষ্টের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমাপ্রার্থী” — টকশোতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
  •     আমীর খসরু নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি
  •     ছলছুতোয় রাজধানীর সড়ক অবরোধ করলেই অ্যাকশন
  •     ‘যুদ্ধের ইতি আমরাই টানব’ - ট্রাম্পকে কড়া হুশিয়ারি ইরানের
  •     ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না ট্রাম্প

‌মোবাইল-ইন্টারনেটের ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাওয়ের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৮
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কার্যালয়

ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত বর্ধিত কর প্রত্যাহার না হলে আগামী সপ্তাহে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইন্টারনেট খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা। তারা বলেন, পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, কর বৃদ্ধির ফলে এখন থেকে ৫০০ টাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ৫৭৫ টাকার বেশি এবং ১ হাজার টাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ১৫৫ টাকার বেশি দিতে হবে গ্রাহককে।

বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম ও আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবা খাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে। এখন আবার নতুন করে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ও সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকের ভোগান্তি যেমন বাড়বে তেমনি এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা গ্রাহক এবং সেবা খাতের সবাইকে নিয়ে এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করব।

আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের ছোট ছোট উদ্যোক্তা যেমনভাবে হুমকির মুখে পড়বে ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝার চাপ বাড়বে। ফোনে ইন্টারনেট সেবা বিমুখ হবে জনগণ, যা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করবে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, নতুন করে করের বোঝা জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবে। এ সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তা বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবায় কর আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ। নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি তো দূরে থাক, গ্রাহকরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে না।

সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পর আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু আজ দুঃখের সঙ্গে আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হলো। গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনা না করে কারও সাথে আলোচনা না করে রাতের আঁধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আমরা এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থানসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রযুক্তিবিদ ফিদা হক, ফ্রিল্যান্সারদের প্রতিনিধি আনিস, রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন, পাঠাও এর সিইও ফাহিম প্রমুখ।

জাগতিক/ আফরোজা

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
২২ সেপ্টেম্বর এফডিসিতে পরিচালক বদিউল আলম খোকনের ‘তছনছ’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেন ববি
আজ সোমবার দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে নজরকাড়া পোশাক গহনায় দ্যুতি ছড়ালেন পরীমণি
জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগে টেলিগ্রাম ও বোটিম অ্যাপ ব্যবহার করছেন
খাগড়াছড়ির ঘটনায় এনসিপির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন, পদত্যাগ অলিক মৃ’র
12