logo
  • শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ইন্ধনে সাইফুলকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:০২
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের প্ররোচনায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আদেশের পর চিন্ময়ের সমর্থক ইসকনপন্থি আইনজীবীরা আদালতের প্রতি অশালীন মন্তব্য করেন এবং সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজনভ্যানের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিপেটা করলে চিন্ময়ের সমর্থকরা আদালত প্রাঙ্গণে মসজিদ, আইনজীবীদের গাড়ি ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর চালায়। একইদিন বিকেলে সাইফুল ইসলাম আলিফ বাসায় ফেরার পথে তার মুখে দাঁড়ি দেখে চিন্ময়ের অনুসারীরা তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তারা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে স্লোগান দেয়।

সাইফুলের বাবা দাবি করেন, স্থানীয় লোকজন ও সহকর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

মামলা করতে বিলম্বের কারণ হিসেবে এজাহারে বলা হয়েছে, ছেলের দাফন-কাফন, জানাজা সম্পন্ন করে, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা শেষে এবং ঘটনার ভিডিও ও ছবি দেখে আসামিদের পরিচয় সংগ্রহ করতে কিছুটা সময় লেগেছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিএনপির সাবেক এক নেতার দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। তাকে কারাগারে পাঠানোর সময় প্রিজনভ্যান আটকে তার সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং বিজিবি লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করলে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে রঙ্গম সিনেমা হলের গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12