লক্ষ্যমাত্রা ২৬ লাখ ১০ হাজার টন:
চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন শুরু

দেশে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন, যা চলবে আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত। এ সময়ে সাগরের নোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের জেলা চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণের চাষ হয়; যা থেকে পূরণ হয় দেশের সার্বিক লবণের চাহিদা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ৬৯ হাজার একর জমিতে ২৬ লাখ ১০ হাজার টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মৌসুমে ৬৮ হাজার ৫০৫ একর জমিতে লবণ উৎপাদিত হয়েছিল ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ টন। যা দেশে বাণিজ্যিক লবণ উৎপাদন শুরুর পর ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
জানা গেছে, ৪ নভেম্বর কুতুবদিয়ায় চলতি মৌসুমে প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হয়। এ উপকূলের ৭০ শতাংশ জমিই এখন লবণ চাষে প্রস্তুত। এ ছাড়া পেকুয়ায় ৫০, টেকনাফে ১০ শতাংশ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৪০ শতাংশ মাঠ প্রস্তুত হয়েছে। বাকি উপজেলার চাষিরাও মাঠে নামতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে কুতুবদিয়া ও বাঁশখালী উপজেলা থেকে ৫৫ টন লবণ সংগৃহীত হয়েছে।
বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, চলতি মৌসুমে প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে কুতুবদিয়ায়। বলা যায়, মৌসুম শুরুর ১৫ দিন আগে। এর পর পেকুয়া ও বাঁশখালীতে। এখন মোট ১০ শতাংশ জমিতে লবণ উৎপাদিত হচ্ছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অবশিষ্ট ৯০ শতাংশ জমিতে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হবে; চলবে টানা পাঁচ মাস। তাপমাত্রা বেশি থাকলে লবণের বাম্পার উৎপাদন হতে পারে।
বিসিকের তথ্য বলছে, গত বছর ৬৮ হাজার একরের বেশি জমিতে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তি পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদন হয়েছে। এবারও শতভাগ জমিতে পলিথিন প্রযুক্তিতে ব্যবহার হচ্ছে। এ বিষয়ে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির তুলনায় পলিথিন প্রযুক্তিতে লবণ উৎপাদন আড়াই গুণ বেশি হয়। জেলার ৪৪ হাজার প্রান্তিক চাষি, ১ লাখ শ্রমিকসহ অন্তত ১০ লাখ মানুষ লবণ উৎপাদন, বিপণন, পরিবহন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
মন্তব্য করুন