নতুন মূল্য ঘোষণা
ফেব্রুয়ারিতে এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম বাড়ল

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) এবং অটোগ্যাসের মূল্য ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য নতুনভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আজ (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়ে এই মূল্য সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এই মাসে এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছে, এবং তা নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
বিইআরসি এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এলপিজির প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দামে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে জানুয়ারি মাসের জন্য এলপিজির দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। তবে গত ১৪ জানুয়ারি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
একইভাবে, অটোগ্যাসের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পূর্বে ছিল ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
এলপিজির মূল্য সমন্বয়ের জন্য সৌদি আরামকোর ঘোষণা করা ফেব্রুয়ারি মাসের সৌদি সিপি (সিপি সাদা প্রোপেন) অনুযায়ী এই সমন্বয় করা হয়েছে।
চলতি মাসে প্রোপেন ও বিউটেনের গড় মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৬২৮.৫০ মার্কিন ডলার। বিইআরসি জানায়, সৌদি আরামকো থেকে এলপিজি সরবরাহের জন্য বিশ্ববাজারে যে দাম ধার্য করা হয়েছে, সেটি বিবেচনায় রেখে এই দাম সমন্বয়ের কাজ করা হয়েছে।
এছাড়া, বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ জানিয়েছেন যে, বিইআরসি দাম সমন্বয় সম্পর্কিত নির্দেশনা দুপুরে ঘোষণা করেছেন এবং বিকেল ৩টায় পুরো তথ্য প্রকাশিত হবে।
এই সমন্বয়ের ফলে ভোক্তারা কিছুটা প্রভাবিত হতে পারেন, বিশেষ করে যারা এলপিজি ব্যবহার করেন তাদের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে, এই দাম বৃদ্ধির ফলে বাড়তি খরচ ভোক্তাদের দৈনন্দিন ব্যয়ে কিছুটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষ করে, যেহেতু এলপিজি বেশিরভাগ পরিবারে রান্না ও অন্যান্য গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত হয়, ফলে এই দাম বৃদ্ধির সঙ্গে অনেকের অস্বস্তি হতে পারে।
তবে, বিইআরসি জানিয়েছে, এই সমন্বয়ের উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাপ্ত এলপিজির মূল্যের সঙ্গে বাংলাদেশে এলপিজির মূল্য সামঞ্জস্য রেখে দেশের ভোক্তাদের জন্য সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা।
এছাড়া, বিইআরসি আরও জানায় যে, আগামীতে যদি সৌদি আরামকোর সিপির ভিত্তিতে দাম কমানো যায়, তবে তাদের পক্ষ থেকে আবারও দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ফলে, পুরো বিষয়টি বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থা এবং সৌদি আরামকোর ঘোষণার উপর নির্ভর করবে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, এ ধরনের দাম বাড়ানোর ফলে জনগণের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কী প্রভাব পড়বে এবং ভবিষ্যতে এর মূল্য আরও বাড়বে কিনা।
অবশ্যই, সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এই ধরনের পদক্ষেপ জনগণের স্বার্থে এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্যে নেয়া হচ্ছে।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন