logo
  • শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

সাংবাদিক ইলিয়াসের লাইভ

১৫ আগস্টের ঘটনার বিবরণ দিলেন মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) রাশেদ চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম রাশেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলের একটি লাইভ আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।


শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে প্রচারিত এই আলোচনায় তিনি ১৫ আগস্টের সকাল থেকে রেডিওতে "শেখ মুজিব ইজ ডেড" ঘোষণা শুনে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। রাশেদ চৌধুরী জানান, অপারেশনের পরিকল্পনা, দায়িত্ব বণ্টন এবং ঘটনাক্রমে তার ভূমিকা কীভাবে ছিল।

রাশেদ চৌধুরীর দাবি, পুরো অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন মেজর ফারুক। টার্গেট সিলেকশনে শেখ মুজিবের বাসা, সেরনিয়াবাদের বাসা, শেখ মনির বাসা ও রেডিও স্টেশনের কথা উল্লেখ ছিল। ফারুক মেজর বজলুল হুদাকে শেখ মুজিবের বাসার দায়িত্ব দেন এবং ডালিমকে সেরনিয়াবাদের বাসা ও রেডিও স্টেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।


রাশেদ চৌধুরী জানান, তার দায়িত্ব ছিল রেডিও স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং ঘোষণার জন্য প্রস্তুত রাখা। ভোরের দিকে তিনি রেডিও স্টেশন টেকওভার করেন এবং সাড়ে ৬টার দিকে মেজর ডালিম সেখানে আসেন। ডালিম তাকে জানায়, “উই হ্যাভ ডান ইট।”

রাশেদ চৌধুরী বলেন, শেখ মুজিবকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল না। তাকে গ্রেফতার করে সামরিক আদালতে বিচার করার পরিকল্পনা ছিল। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় ঘটনাক্রমে শেখ মুজিবকে তার বাসাতেই হত্যা করা হয়।


তিনি জানান, শেখ মুজিবের বাসায় গোলাগুলির শুরু করেন শেখ কামাল ও তার স্ত্রী সুলতানা। তাদের গুলিতে একজন সিপাহী নিহত ও কয়েকজন আহত হয়, যা সেনাসদস্যদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। বজলুল হুদা ও তার সহযোগীরা শেখ মুজিবকে দোতলা থেকে নিচে নামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সুলতানা ও শেখ জামাল উপর থেকে গুলি চালাতে থাকেন। পাল্টা গুলিতে শেখ মুজিব নিহত হন।

শেখ রাসেল দোতলার একটি রুমে আটকা ছিলেন। রাশেদ চৌধুরী জানান, বজলুল হুদার বক্তব্য অনুযায়ী, জানালা দিয়ে গ্রেনেড নিক্ষেপের ফলে শেখ রাসেলসহ অন্যরা নিহত হন।

সকাল সাড়ে ৮টায় কর্নেল রশিদ খন্দকার মোশতাককে নিয়ে রেডিও স্টেশনে আসেন। সেখানে খন্দকার মোশতাককে নতুন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয় এবং রেডিও স্টেশনকেই নতুন সরকারের সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

রাশেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন।


লাইভ অনুষ্ঠানটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, "আমার এ বইতে সব ঘটনা বিস্তারিত লেখা আছে। আমি জানি, এটি বিতর্কের জন্ম দিতে পারে, তবে এটাই আমার সত্য।"


রাশেদ চৌধুরীর বক্তব্যে দেশ-বিদেশে নতুন করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

জাগতিক /এস আই

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
12