সেবাদাতাদের আপত্তি
গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ

গ্রাহকদের ইন্টারনেট খরচ কমাতে ব্রডব্যান্ড সেবার দাম সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিটিআরসির প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, অনুমোদন পেলে গ্রাহকরা ৫০০ টাকার পাঁচ এমবিপিএস সংযোগ ৪০০ টাকায় পাবেন। ১০ এমবিপিএসের দাম ৮০০ থেকে কমিয়ে ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের জন্য ১২০০ টাকার পরিবর্তে ১১০০ টাকা নির্ধারণ করা হবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, "গ্রাহকদের ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য করতে সরকার সবসময়ই আন্তরিক। আমাদের হিসাব অনুযায়ী, দাম ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব। অনুমোদন পেলে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।"
তবে বিটিআরসির এই উদ্যোগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। সংগঠনটির সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, "ইন্টারনেটের দাম কমালে সেবাদাতারা বড় ধরনের আর্থিক চাপের মুখে পড়বে। এতে মানসম্মত সেবা দিতে বাধা তৈরি হতে পারে।"
দেশে দিনে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হয়, যার ৪০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ ব্রডব্যান্ড সেবায় ব্যবহৃত হয়। ২০২১ সালে বিটিআরসি পাঁচ থেকে ২০ এমবিপিএস পর্যন্ত তিনটি ক্যাটাগরিতে মাসিক ৫০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে দাম নির্ধারণ করে। তিন বছর ধরে এই হারেই সেবা দিয়ে আসছে ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইন্টারনেটের দাম কমলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। গ্রাহক পর্যায়ে খরচ কমলে ই-কমার্স, অনলাইন শিক্ষা ও ফ্রিল্যান্সিং খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিটিআরসি ইতোমধ্যে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর প্রস্তাবটি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই নতুন দাম কার্যকর হবে।
তবে দাম কমানোর এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ কীভাবে প্রভাবিত হবে এবং গ্রাহকরা কতটা মানসম্মত সেবা পাবেন, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়ে গেছে।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন