logo
  • শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
পূর্বাচল থেকে আবারও গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বুয়েটছাত্রের মৃত্যু / গ্রেপ্তার ৩ আসামি দুই দিনের রিমান্ডে, পুলিশের মাদক মামলা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদের নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নূর মোহসীনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন৷ এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ৷ আজ আদালতে আসামিদের জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী৷ আদালত জামিন ও রিমান্ড শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে দুইদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক কাইউম খান৷ গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মুবিন আল মামুন (২০), মিরাজুল করিম (২২) ও আসিফ চৌধুরী (১৯)৷ তাদের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে পুলিশ৷ রূপগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মেহেদী হাসান বাদী হয়ে দায়ের করা ওই মামলায় তাদের মাদক সেবন ও বহনের অভিযোগ আনা হয়৷ এর আগে শুক্রবার ডোপ টেস্টের পর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান জানান, মুবিনের শরীরে অ্যালকোহল ও গাঁজা, মিরাজুলের শরীরে অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে৷ তবে আসিফ চৌধুরীর শরীরে মাদকজাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি৷ মাদক মামলায় পুলিশ বলেছে, ঘটনার পর প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করে একটি বিদেশি মদের খালি বোতল ও এক ক্যান বিয়ার পাওয়া গেছে৷ এর আগে শুক্রবার সড়ক পরিবহন আইনে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে রূপগঞ্জ থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের বাবা মাসুদ মিয়া৷ গত শুক্রবার রাত আনুমানিক তিনটার দিকে পূর্বাচল উপশহরের নীলা মার্কেটের সামনে ৩০০ ফুট সড়কে (কুড়িল-কাঞ্চন) পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে দাঁড়ানো অবস্থায় প্রাইভেটকারটি মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়৷ এতে ঘটনাস্থলে মারা যান বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুহতাসিম মাসুদ (২২)৷ গুরুতর আহত হন তার দুই সহপাঠী মেহেদী হাসান খান ও অমিত সাহা (২২) জাগতিক/ আফরোজা 
ডেঙ্গু প্রতিরোধে অবহেলা: সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও
সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদ
দাফনের সাড়ে তিন মাস পর মরদেহ উত্তোলন
নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট / মেঘনা গ্রুপের টিস্যু কারখানায় আগুন
লেকের পাড়ে পলিথিন থেকে মরদেহের ৭ খণ্ড উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরে লেকের পাড় থেকে তিনটি পলিথিনের বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির (৪০) খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কাঞ্চন-কুরিল বিশ্বরোড সড়কের উত্তর পাশে পূর্বাচল উপশহরের ৫ নম্বর সেক্টরের ব্রাক্ষণখালী এলাকায় লেকের পাড় থেকে মরদেহটির সাতটি অংশ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, সকাল আটটার দিকে লেকের পাড়ে কালো রঙের তিনটি পলিথিনের বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পলিথিনের বস্তাগুলো খুললে একজন পুরুষের মাথাসহ শরীরের সাতটি খণ্ডিত অংশ উদ্ধার হয়। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ২/৩ দিন আগে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর মরদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করে পলিথিনের বস্তায় ভরে মঙ্গলবার রাতে লেকের পাড়ে ফেলে রেখে যায়। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়াসহ তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তার পরিচয় শনাক্ত করতে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহের জন্য সিআইডি পুলিশ ও পিবিআই টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী।  
সিদ্ধিরগঞ্জে টায়ার পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বাসিন্দারা
জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকায় প্রায় এক দশক ধরে পরিচালিত হচ্ছে পুরনো টায়ার বেচাকেনার ব্যবসা। এই ব্যবসাস্থল কেন্দ্র করে দখল করা হয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিপুল পরিমাণ সরকারি জায়গা। স্থানীয়দের অভিযোগ, টায়ার পুড়িয়ে মেরামতের কারণে ঝাঁঝালো গন্ধ ও বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পাশাপাশি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন কয়েকটি এলাকার দেড় লক্ষাধিক বাসিন্দা। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশে সরকারি জায়গা দখল করে মজুদ রাখা হয়েছে বিভিন্ন যানবাহনের হাজার হাজার পুরনো টায়ার ও ছোট বড় চাকা। দখল করা হয়েছে মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ। মাদানিনগর মাদ্রাসা থেকে শিমরাইল পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সড়ক বিভাগের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন ভেতরের টায়ার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এলাকাবাসী ও টায়ার ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানান, প্রায় দশ বছর আগে রাজধানীর ধোলাইখালের টায়ার ব্যবসায়ীরা সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি কর্পোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি দু'টি করে দোকান নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মাদানিনগর, সানারপাড় ও শিমরাইল আবাসিক এলাকা পর্যন্ত চারটি মার্কেটে শতাধিক দোকান ও কারখানা গড়ে তুলে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করা হয়।  পাড়া মহল্লার ভেতরেও বিভিন্ন ভবনের নিচতলায় এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন অনেকেই। এছাড়া সরকারি জায়গা দখলসহ মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ দখল করেও টায়ার ব্যবসার কার্যক্রম চলছে। এতে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতাসহ সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ কারখানায় টায়ার পুড়িয়ে মেরামত করায় এর ঝাঁঝালো গন্ধ ও বিষাক্ত ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, এ্যাজমা ও চোখের রোগসহ নানা জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারা। আবাসিক এলাকা থেকে পরিবেশ দূষণকারী টায়ার কারখানা দ্রুত উচ্ছেদের দাবি করছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। তবে টায়ার পোড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করলেও সরকারি জায়গা দখল এবং পরিবেশ অধিদফতরের কোন অনুমোদন নেই বলে স্বীকার করেন টায়ার মার্কেট ব্যবসায়ীদের সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন। জাগতিক নিউজকে তিনি বলেন, ‘এখানে মেশিনে হিট দিয়ে পুরনো টায়ার মেরামত করা হয়। তবে পোড়ানো হয় না। এখানে চারটি মার্কেটে একশ'র বেশি ব্যবসায়ী আছে। সরকারি কোন সংস্থার অনুমোদন নিতে কেউ কোন দিন উদ্যোগ নেয় নাই। যার যার মতো ব্যবসা করতেছে। কোন সংস্থা থেকেও আমাদের কাছে আসে নাই’। সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা অবৈধভাবে দখলের বিষয় স্বীকার করে জালাল উদ্দিন বলেন, ‘যার যার দোকানের সামনে রাস্তার সরকারি জায়গা ব্যবহার করছে। কোন লীজও নেয়া হয় নাই’। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অচিরেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ অবৈধ দখল থেকে সরকারি জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান পরিবেশ অধিদফতর ও সড়ক বিভাগের জেলা কর্মকর্তা। পরিবেশ অধিদফতরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক এ এইচ এম রাসেদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ দেন নি। অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এছাড়া আমরা সেখানে পরিদর্শনে যাবো। যদি কোন দোকান বা কারখানায় টায়ার পুড়িয়ে রি সাইক্লিং করা হয় সেক্ষেত্রে আমরা সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব’। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস সময় সংবাদকে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা একাধিকবার  উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা অবমুক্ত করেছি। আবার তারা সেই জায়গা দখল করেছে। আমরা অচিরেই আবারও অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করব’।
2Error!: SQLSTATE[23000]: Integrity constraint violation: 1062 Duplicate entry '0' for key 'news_id'