logo
  • শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
বিএনপির ২০১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা / “মুন্সীগঞ্জে থানা থেকে আসামি ছিনতাই” ওসি প্রত্যাহার
মুন্সিগঞ্জে বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত ৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১ জন। গুরুতর আহত ১ জনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার ১০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ওয়াদুদ বেপারী (৩৫), বাবুল (৩০) ও আহমদুল্লাহ গাজী। সকলের বাড়ি গুয়াগাছিয়া গ্রামে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে নাঈম নামের একজন। গজারিয়ার নৌপুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আলামিন জানান, নদীতে নোঙর করে রাখা বাল্কহেডের সাথে রাতের অন্ধকারে দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে তাদের মৃত্যু হয়। তবে কতজন আহত হয়েছে তা এখনও জানতে পারিনি। শুনেছি স্পিডবোটে ১০-১২ জন ছিল। এ ব্যাপারে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নিহত ৩ জনের মরদেহ গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে রয়েছে। নিহত ওয়াদুদের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় ১০ টি মামলা রয়েছে। সে চিহ্নিত জলদস্যু অবৈধ বালু উত্তোলনকারী পিয়াসের ভাই। গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সায়মা আক্তার জানান, হাসপাতালে ৪ জনকে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩ জনকে নিহত অবস্থায় আনা হয়। বাকি একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জাগদিত/ আফরোজা
থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নিল বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা
বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
মুন্সীগঞ্জে বিস্ফোরণে উড়ে গেছে শিশুর হাতের কবজি
৫ আগস্ট থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র / মহাসড়কে ‘প্রেমিকাকে’ গুলি করে হত্যা: সংবাদ সম্মেলনে এসপি
৫ আগস্ট থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র / মহাসড়কে ‘প্রেমিকাকে’ গুলি করে হত্যা: সংবাদ সম্মেলনে এসপি
আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিকা শাহিদা ইসলাম রাফাকে মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে এনে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করে ‘কথিত’ প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়।    হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি গত ৫ আগস্ট ঢাকার ওয়ারি থানা থেকে লুণ্ঠিত হওয়া অস্ত্র বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার। আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। পুলিশ সুপার জানান, প্রেমিকা শাহিদা ইসলাম রাফাকে হত্যার পর ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালাতে গেলে ভোলার ইলিশায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে গ্রেফতার করে মুন্সীগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। তিনি জানান, এদিকে আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচে পানি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, উদ্ধার বিদেশি পিস্তলটি পাঁচ আগস্ট রাজধানীর ওয়ারি থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র।   এর আগে গত শনিবার রাতে নিহত শাহিদা ইসলাম রাফার মা জরিনা বেগম শ্রীনগর থানায় ‘কথিত’ প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে প্রধান অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা করেন।   নিহত শাহিদা রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত মোতালেবের মেয়ে। তারা দুই ভাই ও তিন বোন।   প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের দোগাছি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।  
গুলিবিদ্ধ নারীর মরদেহ ভোলায় উদ্ধার,গ্রেপ্তার ১
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ভোলা থেকে তৌহিদ নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশ। আজ সোমবার ভোরে তাকে ভোলার ইলিশা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইশতিয়াক আশফাক।   ইশতিয়াক আশফাক জানান, গ্রেপ্তার যুবকের তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।   গত শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সাহেদা বেগম (২২) নামে এক তরুণীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে ওই ঘটনায় মামলা হয়। নিহতের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেন।
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে চড়া ইলিশের দাম
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম মাছের আড়তে চলছে ইলিশের ধুম বেচাকেনা। ভরা মৌসুমে দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।   মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী তীরের মিরকাদিম হাট। ভোর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত পুরো এলাকা। রুই, কাতল, আইড়, বোয়াল, মৃগেল, কৈ-শিংসহ স্থানীয় খালবিলের হরেক রকম মাছ ওঠে এ বাজারে।   বাজারে মাছের রাজা ইলিশ ঘিরে ক্রেতাদের জটলা একটু বেশিই। তবে ভরা মৌসুমেও আকাশ ছোঁয়া দাম এই মাছের। দুই দিন আগেও ১৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া বড় আকারের ইলিশের বর্তমান দাম ২১০০ টাকা।   বিপুল পরিমাণ মাছের সরবরাহ সত্ত্বেও দাম চড়া হওয়ায় ভোক্তারা দায়ী করছেন সিন্ডিকেট ও মজুতদারকে। তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ভরা মৌসুমেও ইলিশসহ অন্যান্য মাছের বাজার অস্থির করে তুলছে। এতে ইলিশ খেতে পারছে না সাধারণ মানুষ।   আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) প্রতিকেজি নদীর পাঙাশ ৬০০-৯০০ টাকা,  চাষের পাঙাশ ১৩০-১৮০ টাকা, নদীর রুই ৫০০-৯০০ টাকা, চাষের রুই ২৫০-৪৫০ টাকা, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা ও কার্ফু ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি গলদা চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা, আইড় ৯০০-১৪০০ টাকা, চাষের কৈ ১৬০-১৯০ টাকা চাষের শিং ৩৫০-৪০০ টাকা, বোয়াল ৪০০-৮০০ টাকা ও পোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-৩৫০ টাকায়।   তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আড়তদাররা দিচ্ছেন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের অজুহাত। মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম মৎস্য আড়ত সমিতির সভাপতি হাজী রুহুল আমিন বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত মাছ না আসায় বাড়ছে।   জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, নদী বেষ্টিত মুন্সীগঞ্জে প্রতি বছর ৩১ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ইলিশ উৎপাদন হয় প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন।   শত বছরের প্রাচীন এই হাটের ৪৫টি আড়তে ৪ হাজার মানুষ কাজ করেন। ধলেশ্বরী তীরের এই হাটে ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।  
শ্রীনগরে তাবিজের ব্যবসা প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ
মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার তাবিজ- তুমারের ব্যবসা বেশ জমজমাট হয়ে ওঠেছে। এই ব্যবসার মাধ্যমে হাজার-হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণির প্রতারক। এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা কিংবা মানুষকে প্রতারণা থেকে রক্ষার করার কেউ নেই। এই তাবিজ ব্যবসায়ীদের দাপটে আলেম সমাজের লোকজন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের সাতগাঁও বাজার জামে মসজিদ ইমাম ইব্রাহিম সরদার, মুয়াজ্জিনের কক্ষে থেকে ছাপলাই হয় এই তাবিজ, আসেপাশের ইমামসহ আরো কয়েক জন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আরো কয়েকজন দীর্ঘ দিন ধরে এই অবৈধ তাবিজ ব্যবসার মাধ্যমে নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে হাজার-হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।  এই তাবিজ তুমার সম্পর্কে প্রখ্যাত আলেমদের কাছে জানতে চাইলে তারা সবাই বলেন, ইসলাম ধর্মে ঝাঁড়-ফুঁ, তেল ও পানি পড়া দেওয়া জায়েজ আছে। তবে তাবিজ দেওয়া ও তাবিজ দিয়ে টাকা নেওয়া হারাম। যারা এই অবৈধ কাজ চালিয়ে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এব্যাপারে ইব্রাহিম সরদার এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সবাই ব্যবস্যা করে আমি করলে দোষ কোথায়।  বীরতারা ইউনিয়নের আলেম সমাজসহ সচেতন মহল এসব তাবিজ হুজুরদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
2Error!: SQLSTATE[23000]: Integrity constraint violation: 1062 Duplicate entry '0' for key 'news_id'