logo
  • রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২

পরিবেশ রক্ষা করে সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৪১

প্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে প্রভাবমুক্ত রেখে দেশের যোগাযোগব্যবস্থাকে সমন্বিতভাবে উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় “সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টার প্ল্যান অব বাংলাদেশ” বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন, বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ সংশ্লিষ্ট সচিব ও কর্মকর্তারা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা বর্তমানে বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। এটিকে দ্রুত শৃঙ্খলায় না আনলে অর্থনীতির জন্য তা গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে হবে পরিবেশের ক্ষতি না করে। “নদীকে আঘাত করা যাবে না, পানি আমাদের বিরাট সম্পদ—এটি মনে রাখতে হবে,” বলেন তিনি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ বৈঠকে একটি প্রাথমিক কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। এতে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার সমন্বিত উন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা পরিকল্পনার প্রশংসা করে বলেন, “এটি আমাদের একটি শক্তিশালী ধারণা দিয়েছে। এখন সময় এসেছে বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার।” তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনাটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আঞ্চলিক সংযোগের দিক বিবেচনায় করতে হবে।

বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন বলেন, “আমরা এমন এক সমন্বিত মডেল তৈরির কাজ করছি, যা দেশের অর্থনৈতিক লাইফলাইন গড়ে তুলবে।”

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “যেখানে সামান্য সড়ক নির্মাণেই জাতীয় সংযোগ বাড়ানো সম্ভব, সেসব অঞ্চলে দ্রুত পরিকল্পনা নিতে হবে।”

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, উন্নয়ন কার্যক্রম আরও পরিকল্পিতভাবে করতে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি নতুন ‘প্ল্যানার্স উইং’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, “২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে আরও তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। এসব বন্দরকে কেন্দ্র করে সড়ক যোগাযোগ সহজ ও কার্যকর করতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকের শেষে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন—“আমাদের উন্নয়ন হবে টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও মানুষের কল্যাণে।”


মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আরও পড়ুন
‘হযবরল’ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলায় আনার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ক্যান্সার সচেতনতা বাড়াতে সারাদেশে উদ্যোগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
নীতিনির্ধারণে সময়োপযোগী সমন্বয় ও নাগরিক দায়িত্বের ওপর গুরুত্ব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচন, গণভোটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা: শফিকুল আলম
12