আজ বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ আজ থেকে শুরু হচ্ছে। এবারের মেলায় রেকর্ডসংখ্যক ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
বিকেল ৩টায় বইমেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন দেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, প্রকাশক, সংস্কৃতিজন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
বইমেলার বিন্যাস গত বছরের মতোই রাখা হয়েছে, তবে এবার কিছু নতুন পরিবর্তন আনা হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য চারটি প্রবেশ ও বাহির পথ রাখা হয়েছে— টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে সাজানো হয়েছে।
শিশুদের জন্য এবার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মন্দির গেটের ডান পাশে বিস্তৃত পরিসরে শিশুচত্বর স্থাপন করা হয়েছে, যাতে শিশুরা নির্দ্বিধায় ঘুরতে পারে এবং তাদের পছন্দের বই সহজে খুঁজে পায়। এছাড়া নারী-পুরুষের জন্য পৃথক নামাজের স্থান, ওয়াশরুম ও বিশ্রামের জায়গা রাখা হয়েছে। প্রবীণ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে।
বইমেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিনে মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। রাত ৮:৩০টার পর নতুন কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।
প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে, তবে ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি এটি কার্যকর হবে না। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বইমেলার পরিবেশ সুন্দর ও শৃঙ্খলাপূর্ণ রাখতে আয়োজকরা কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছেন। প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। এছাড়া মেলার নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
এবারের বইমেলায় বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য লেখকদের বইয়ের পাশাপাশি তরুণ লেখকদের নতুন বইয়ের বিপুল সমারোহ থাকবে। পাঠকদের জন্য বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নতুন ছাড় ও অফার দিচ্ছে, যা মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
জাগতিক /এস আই
মন্তব্য করুন




